গোল খোঁপা
খোঁপাটা যেহেতু গোল, তাই মাথার সামনের চুল ফুলিয়ে নিন।
এবার পেছনে সব চুল রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে নিন। আটকানো সব চুলের এক পাশে একটু চুল রেখে বাকি চুল দিয়ে সাধারণ হাতখোঁপা করুন।
এবার খুলে রাখা বাকি চুল দিয়ে খোঁপার ওপর দিয়ে ঢেকে ক্লিপ লাগিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন, চুলগুলো যেন ভালো করে আটকানো হয়। প্রয়োজনে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করে একটু শক্ত করতে পারেন।
দুই বেণি
প্রথমে চুলগুলো খুব ভালোভাবে আঁচড়িয়ে নিতে হবে। এরপর সিঁথির মাধ্যমে মাথার পুরো চুলগুলো সমান দুই ভাগে ভাগ করুন। এবার একপাশের চুল নিয়ে বেণি করার জন্য তিনটি ছোট ছোট ভাগ করুন। কানের কাছ থেকে শুরু করে পুরো চুল বেণি করে ফেলুন। একইভাবে মাথার অন্য পাশের চুলগুলো নিয়ে সেগুলোও তিনটি ছোট ভাগ
করতে হবে। এবার আগের মতো করেই পুরো চুল বেণি করতে হবে।
কলা বেণি
কলা বেণি করার প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ। দুই বেণির মতো মাথার চুলগুলো দুই ভাগে ভাগ করে ফেলতে হবে। একপাশের চুল নিয়ে পুরো চুল ফিতার সাহায্যে বেণি করুন। এরপর একইভাবে অন্য পাশের চুল ফিতা দিয়ে বেণি করুন। এবার বেণিটি উল্টিয়ে ঠিক যেখান থেকে আপনি মাথার বেণিটি শুরু করেছিলেন সেখানে কলার মতো বেণিটি আটকিয়ে ফেলুন ফিতার সাহায্যে। ব্যস! হয়ে গেল আপনার সুন্দর কলা বেণি।
ফাইডপাট পনি বেণি
বেণির এ স্টাইলটি বেশ আকর্ষণীয়। ফাইডপাট পনি বেণি করার জন্য প্রথমে খুব ভালো করে চুল আঁচড়িয়ে নিন। এবার কপালের সামনের অংশ থেকে মাথার মাঝখান পর্যন্ত অল্প কিছু চুল নিন। চুলগুলো ঠিক সমান তিন ভাগে ভাগ করে ফেলুন। এবার কপালের ঠিক সাইড থেকে বেণি করা শুরু করে কানের কাছে এসে বেণিটি শেষ করে দিন। পেছনের বাকি চুলগুলো আঁচড়িয়ে চেহারার একপাশে নিয়ে আসুন। এবার চুলগুলো সমান তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। এরপর সামনের বেণিটির চুল নিয়ে এক সঙ্গে পুরো বেণিটি করুন। এই তো খুব সহজে হয়ে গেল ফাইডপাট পনি বেণি। প্রতিদিনের সাজসজ্জায় অতি সহজেই এ বেণি আপনাকে আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং সব পোশাকের সঙ্গে নিমেষেই চলে যায় সুন্দর এ বেণিটি।
ফ্রেঞ্চ বেণি
ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ বেণির বেশ কদর রয়েছে। ছোট-বড় সব সাইজের চুলেই এ বেণি খুব সুন্দরভাবে করা যায়। ফ্রেঞ্চ বেণি করতে হলে প্রথমেই চুলগুলো ভালোভাবে আঁচড়িয়ে নিতে হবে। এরপর মাথার ওপরের মাঝখানের অল্প কিছু চুল নিয়ে তা তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। সেই চুল দিয়েই কপালের সামনে থেকে বেণি শুরু হবে। কিছুদূর বেণি করার পর বাকি চুলগুলো থেকে আবার আঙুলের সাহায্যে মাথার উভয় পাশ থেকে অল্প কিছু চুল নিয়ে আগের বেণির সঙ্গে যোগ করতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে অল্প করে চুল নিয়ে ঘাড় পর্যন্ত আসবে। এরপর নিচের দিকের লম্বা চুলগুলো নিয়ে পুরো চুল বেণি করে নিতে হবে। চাইলে সামনের দিকে চুলগুলো একটু ফুলিয়ে নিয়ে ওই বেণিটি করতে পারেন। সেই সঙ্গে কপালে কয়েকটি চুল থাকলে ভালো লাগবে। সালোয়ার-কামিজ কিংবা জিন্স-টপ_ যে কোনো পোশাকের সঙ্গে এ স্টাইলটি বেশ মানানসই।
ট্রিপল ফ্রেঞ্চ বেণি
মাথার সামনে থেকে চুল তিন ভাগে ভাগ করে নিন।
এবার প্রতিটি ভাগে দুই পাশ থেকে চুল নিয়ে আলাদা করে ফ্রেঞ্চ বেণি করুন।
এভাবে মাথার ওপর থেকে শেষ ভাগ পর্যন্ত বেণি করার পর বাকি চুল রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে খোলা রাখুন।
অথবা খোলা বাকি চুল দিয়ে খেজুর বেণি করুন। খেজুর বেণি অনেকটা ফ্রেঞ্চ বেণির মতো। তবে চুলের গোছা বেশ চিকন করে দুই পাশ থেকে অল্প অল্প নিয়ে বেণি করে যেতে হবে।
লম্বা বেণি
প্রথমে মাথার সামনের চুল একটু ফুলিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। এবার পেছনের চুল দিয়ে বেণি করে বেণিতে ফুল লাগান। চাইলে পুরো বেণিতে বেলফুলের মালা পেঁচিয়ে লাগাতে পারেন। এ ছাড়া ছোট ছোট ফুল কিনে বেণির ফাঁকে ফাঁকে গুঁজে দিন।
খেজুর বেণি
বর্তমান ফ্যাশনের সঙ্গে খেজুর বেণিটি খুব মানানসই। সব বয়সী তরুণীর মধ্যেই খেজুর বেণি অনেক জনপ্রিয়। চুল ভালোভাবে আঁচড়িয়ে নিয়ে মাথার চুলগুলো আগের মতোই তিন ভাগে ভাগ করে ফেলতে হবে। এবার প্রতিটি ভাগ থেকে অল্প চুল নিয়ে ছোট ছোট ভাগ করে ফেলুন। লক্ষ্য রাখতে হবে, এ বেণিটি খুব চিকন হবে। এবার ভাগগুলো একত্র করে পুরো চুল বেণি করুন।
বেণি খোঁপা
প্রথমে ঠিক করে নিন সামনে আপনি কী ধরনের স্টাইল করবেন। যাঁদের মুখ গোলাকৃতি, তাঁরা সামনের চুলটা পাফ করে অর্থাৎ একটু ফুলিয়ে নিন। আবার যাঁদের কপাল বেশ চওড়া, তাঁরা সামনে কিছু চুল রেখে সাইড সিঁথি করে সেট করে নিন। এবার পেছনের চুল নিয়ে মাথার নিচের দিকে লম্বা বেণি করুন। চুল ছোট থাকলে পরচুল নিয়ে বেণি করুন। বেণিটা গোল করে পেঁচিয়ে খোঁপার মতো করে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন।
রিং খোঁপা
সাইড সিঁথি করে চুল আঁচড়ে নিন। খোঁপাটা যেহেতু ওপরের দিকে হবে, তাই সামনের চুল মুখের সঙ্গে মানিয়ে সেট করুন। কিংবা সিঁথির দুই পাশের চুল কালো ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। এবার বাকি চুল পনিটেল করে বেঁধে নিন। বাঁধা চুলগুলো বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করুন।
একেকটি ভাগ ধরে গোল করে পেঁচিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকান।
র্যাফেলস
র্যাফেলস বান বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। নরমাল র্যাফেলস, ক্রস র্যাফেলস, ভ্যালেন্টাইনস র্যাফেলস ইত্যাদি।
নরমাল র্যাফেলস
পেছনের সব চুল একপাশে নিয়ে পেছনের দিকে ক্লিপ দিয়ে চুলগুলোকে একপাশে আটকে নিন। আটকানোর পরে বাকি চুলগুলো পেছনের দিকে এনে যে পাশে ক্লিপ লাগানো ছিল, সে পাশে ভেতরের দিকে পেঁচিয়ে কাঁটা দিয়ে সেট করুন। সেট করার সময় ওপরের দিকে একগুচ্ছ চুল বের করে রাখুন। এ চুলগুলো সুন্দর করে হেয়ার স্প্রে দিয়ে সেট করতে হবে।
টিনএজাররা ফরমাল লুক বা ঘরোয়া পার্টিতে এ বান করতে পারেন। এ ছাড়া মধ্যবয়স্ক ও বয়স্করা বিয়ে বা অন্যান্য পার্টিতে শাড়ির সঙ্গে অনায়াসে এই বানটি করে নিতে পারেন। ভ্যালেন্টাইনস র্যাফেলস
এ বানেও নরমাল র্যাফেলসের মতোই ওপরে চুল বের করে রাখুৃন। তবে এবার আরো বেশি করে চুল বের করে রাখতে হবে। এই বের করে রাখা চুলগুলো রিং আকারে ওপরের দিকে সেট করে নিন।
এ ধরনের র্যাফেলস সাধারণত টিনএজরা করে থাকে। সালোয়ার-কামিজ ও শাড়ির সঙ্গে মূলত এই বান করলে ভালো হয়। এ ছাড়া গর্জিয়াস ফ্রক ও গাউনের সঙ্গে বাচ্চাদেরও বানটি করলে ভালো লাগবে।
ক্রস র্যাফেলস
এই র্যাফেলসটি টিনএজারদের মধ্যেই বেশি জনপ্রিয়। র্যাফেলসটি করার সময় পেছনের চুলগুলো দুই পাশ থেকে ক্রস আকারে রিং করে সেট করুন। এ ছাড়া পেছনের দিকে কিছু চুল বের করে রিং আকারে ছেড়ে রাখা যেতে পারে। এ ধরনের র্যাফেলস গর্জিয়াস শাড়ি ও লেহেঙ্গার সঙ্গেই বেশ ভালো মানাবে।
ফ্রেঞ্চ রোল
সামনের চুলগুলো মাথার এক পাশে নিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। আটকানোর পর চুলগুলো পেছনের দিকে এনে যে পাশে ক্লিপ লাগানো ছিল, সেই পাশে ক্লিপের সঙ্গে পেঁচিয়ে কাঁটা দিয়ে আঁটসাঁট করে আটকে দিন।
আঁটসাঁট এই বানটি করপোরেট লুকের আদর্শ।
ব্রেলা বান
এ ধরনের বান করার সময় প্রথমে সামনের চুলগুলো পেছনের দিকে টেনে উঁচু করে অথবা সাইডে বা মধ্যে সিঁথি করে সেট করে নিন। এরপর পেছনের চুলগুলো কয়েকটি অংশে ভাগ করে প্রতি অংশ দিয়ে রিং করুন। প্রতিটি রিং মাঝ থেকে ওঠে গোল হয়ে চারপাশে ফুলের আকারে আটকে নিন।
এ ধরনের বান সাধারণত গোল ও ওভাল শেপের মুখে মানায়। গর্জিয়াস শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গে করতে পারেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা।
ক্রস র্যাফেলস, ক্রস র্যাফেলস (পেছন দিক), ভ্যালেন্টাইনস র্যাফেলস |
র্যাফেলস বান বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। নরমাল র্যাফেলস, ক্রস র্যাফেলস, ভ্যালেন্টাইনস র্যাফেলস ইত্যাদি।
নরমাল র্যাফেলস
পেছনের সব চুল একপাশে নিয়ে পেছনের দিকে ক্লিপ দিয়ে চুলগুলোকে একপাশে আটকে নিন। আটকানোর পরে বাকি চুলগুলো পেছনের দিকে এনে যে পাশে ক্লিপ লাগানো ছিল, সে পাশে ভেতরের দিকে পেঁচিয়ে কাঁটা দিয়ে সেট করুন। সেট করার সময় ওপরের দিকে একগুচ্ছ চুল বের করে রাখুন। এ চুলগুলো সুন্দর করে হেয়ার স্প্রে দিয়ে সেট করতে হবে।
টিনএজাররা ফরমাল লুক বা ঘরোয়া পার্টিতে এ বান করতে পারেন। এ ছাড়া মধ্যবয়স্ক ও বয়স্করা বিয়ে বা অন্যান্য পার্টিতে শাড়ির সঙ্গে অনায়াসে এই বানটি করে নিতে পারেন। ভ্যালেন্টাইনস র্যাফেলস
এ বানেও নরমাল র্যাফেলসের মতোই ওপরে চুল বের করে রাখুৃন। তবে এবার আরো বেশি করে চুল বের করে রাখতে হবে। এই বের করে রাখা চুলগুলো রিং আকারে ওপরের দিকে সেট করে নিন।
এ ধরনের র্যাফেলস সাধারণত টিনএজরা করে থাকে। সালোয়ার-কামিজ ও শাড়ির সঙ্গে মূলত এই বান করলে ভালো হয়। এ ছাড়া গর্জিয়াস ফ্রক ও গাউনের সঙ্গে বাচ্চাদেরও বানটি করলে ভালো লাগবে।
ক্রস র্যাফেলস
এই র্যাফেলসটি টিনএজারদের মধ্যেই বেশি জনপ্রিয়। র্যাফেলসটি করার সময় পেছনের চুলগুলো দুই পাশ থেকে ক্রস আকারে রিং করে সেট করুন। এ ছাড়া পেছনের দিকে কিছু চুল বের করে রিং আকারে ছেড়ে রাখা যেতে পারে। এ ধরনের র্যাফেলস গর্জিয়াস শাড়ি ও লেহেঙ্গার সঙ্গেই বেশ ভালো মানাবে।
ফ্রেঞ্চ রোল
সামনের চুলগুলো মাথার এক পাশে নিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। আটকানোর পর চুলগুলো পেছনের দিকে এনে যে পাশে ক্লিপ লাগানো ছিল, সেই পাশে ক্লিপের সঙ্গে পেঁচিয়ে কাঁটা দিয়ে আঁটসাঁট করে আটকে দিন।
আঁটসাঁট এই বানটি করপোরেট লুকের আদর্শ।
ব্রেলা বান
এ ধরনের বান করার সময় প্রথমে সামনের চুলগুলো পেছনের দিকে টেনে উঁচু করে অথবা সাইডে বা মধ্যে সিঁথি করে সেট করে নিন। এরপর পেছনের চুলগুলো কয়েকটি অংশে ভাগ করে প্রতি অংশ দিয়ে রিং করুন। প্রতিটি রিং মাঝ থেকে ওঠে গোল হয়ে চারপাশে ফুলের আকারে আটকে নিন।
এ ধরনের বান সাধারণত গোল ও ওভাল শেপের মুখে মানায়। গর্জিয়াস শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গে করতে পারেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা।
0 comments:
Post a Comment