Sunday, August 19, 2012

সৌরজগতের সাত আশ্চর্য

0 comments
খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২০০ বছরে পৃথিবীর সাতটি আশ্চর্যকে নির্বাচিত করেছিলেন আন্টিপেটার অব সিডন। পৃথিবীর মতোই সমগ্র সৌরজগতেও অনেক আশ্চর্য জিনিস ছড়িয়ে আছে। মহাকাশ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের অসংখ্য আশ্চর্য থেকে ভেবেচিন্তে সাতটি আশ্চর্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অদ্ভুত সেসব জিনিসের কথা জানাচ্ছেন -জুয়েল সরকার

১. সোলার ফ্লেয়ার

সৌরজগতের প্রথম আশ্চর্য হলো সোলার ফ্লেয়ার বা সৌরঝলক। সূর্যের উপরিভাগের বিভিন্ন চৌম্বক ক্ষেত্রে এক জটিল বিন্যাস থেকে ঘন ঘন বিভিন্ন আকৃতির এই দর্শনীয় আলোর ঝলকের সৃষ্টি হয়। পৃথিবী থেকে করোনা গ্রাফের মাধ্যমে এই সূর্যের এই নান্দনিক সৌরঝলক পর্যবেক্ষণ করা হয়।

২. অলিম্পাস মনস

সৌরজগতের দ্বিতীয় আশ্চর্য হলো অলিম্পাস মনস। এটি মঙ্গল গ্রহের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি। মঙ্গল গ্রহের ভূস্তর থেকে ৪ কিলোমিটার উঁচুতে রয়েছে এর ৮০ কিলোমিটার চওড়া জ্বালামুখ! সুবিশাল এই আগ্নেয়গিরির পাদদেশের ব্যাস ৬০০ কি.মি.। এর চারপাশে দিগন্ত বিস্তৃত সমতল ভূমি। গ্রীষ্ম ও বসন্তকালে এর জ্বালামুখের চারপাশ থেকে যখন বেগ সরে যায়, তখন পৃথিবীর যে কোনো মানমন্দির থেকে টেলিস্কোপের সাহায্যে তা দেখা যায়। এ এক অদ্ভুত দৃশ্য।

৩. মঙ্গলে দু'বার সূর্যোদয়

অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য যে মঙ্গলগ্রহে দু'বার সূর্যোদয় ঘটে। আর এটিই সৌরজগতের তৃতীয় আশ্চর্য! অবশ্য এটি রোজ হয় না। সূর্যকে প্রতিবার প্রদক্ষিণকালে মাত্র একবার হয়। দুইবার সূর্যোদয় সৌরজগতের আর কোনো গ্রহে হয় না।

৪. শনির বলয়

সৌরজগতের চতুর্থ আশ্চর্য শনি গ্রহকে কেন্দ্র করে। আর এটি হচ্ছে শনির ট্রেড মার্ক 'শনির বলয়'। এই বলয়ের সবচেয়ে অবাক দিক হলো এটিকে যেদিক থেকে দেখা যাক না কেন, এ বলয়ের সৌন্দর্য অনন্য ও অসাধারণ। পঞ্চম আশ্চর্য হলো শনির উপগ্রহ

৫. টাইটানের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য

টাইটানের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও ঋতু পরিবর্তন। সৌরজগতের অধিকাংশ উপগ্রহ খানাখন্দকে ভরা এবং রুক্ষ। বাতাসের অস্তিত্ব নেই। টাইটানের নীলাকাশে মরচে রংয়ের মেঘ উড়ে বেড়ায়। মিথেনের নরম কাদায় ভাসে আমোনিয়া বরফ। শনির এই উপগ্রহকে বলা হয় মহাকাশের মরূদ্যান। পৃথিবীর মতো ভারি এর আবহাওয়া।

৬. মঙ্গলের ম্যারিনাল ভ্যালি

মঙ্গলগ্রহের ম্যারিনাল ভ্যালি সৌরজগতের ষষ্ঠ আশ্চর্য। আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের চেয়ে লম্বা চওড়ায় বহু গুণ বড়। এখানে আছে অসংখ্য গিরিখাত যেগুলো দেখলে মনে হয় অতীতে এখানে নদী ছিল। কয়েকটি গিরিখাত প্রায় ২৫০ কি.মি. লম্বা। অনেক স্থানে এর গভীরতা প্রায় ৭০০ মিটার যা গ্রান্ড ক্যানিয়নের প্রায় ৪ গুণ। এ গ্রহে একটি গোলাকার খাদও আছে, যার নাম পাভোনিস মনস।

৭. বৃহস্পতির লাল টিপ

সৌরজগতের সপ্তম আশ্চর্য হলো বৃহস্পতির লাল টিপ। এ গ্রহের দক্ষিণ গোলার্ধে যে দীর্ঘস্থায়ী ঝড় হয় , সেই ঝড়ে বাতাসে ধুলোর মতো উড়ে বেড়ায় কমলা লাল রংয়ের অনেক হাইড্রোকার্বনের গুঁড়া। বহু দূর থেকে দেখলে লাল টিপ বলে মনে হয়। এই টিপ লম্বায় প্রায় ৪০ হাজার কি.মি. এবং চওড়ায় প্রায় ১১ হাজার কি.মি.।

0 comments:

Post a Comment