Monday, September 13, 2010

সেন্টমার্টিন

0 comments
টেকনাফ থানা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার সমুদ্র গর্ভে মনোরম দ্বীপ সেন্টমার্টিন। প্রায় ১৬ বর্গকিলোমিটারজুড়ে এ দ্বীপের মূল আকর্ষণ সৈকতজুড়ে প্রবাল পাথরের মেলা, সমুদ্র তীরে সারি সারি নারিকেল বৃক্ষ, দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া সমুদ্রের নীল জলরাশি। এ দ্বীপের অপর নাম নারিকেল জিঞ্জিরা। রাতে এ দ্বীপটির সৌন্দর্য বেড়ে যায় বহুগুণে। পূর্ণিমা রাতে সেন্টমার্টিন যেন আরো বেশি সৌন্দর্যের পসরা নিয়ে বসে ভ্রমণার্থীদের জন্য। সেন্টমার্টিনের একেবারে শেষপ্রান্তে রয়েছে ছেড়াদ্বীপ। এক সময় এ জায়গাটি মূল দ্বীপ হতে বিচ্ছিন্ন থাকলেও কালের আবর্তে বর্তমানে মূল দ্বীপের সাথে প্রায় মিলে গেছে। তবে এখনো জোয়ারের সময় এ দুই দ্বীপের সংযোগস্থলে সমুদ্রজল বিচ্ছেদ রচনা করে। তাই ছেড়াদ্বীপে প্রবেশ করতে হবে ভাটির সময়ে। ছোট একটি কেয়াবন রয়েছে এখানে। বাকিটা শুধু প্রবাল আর প্রবাল। কোনো মানুষের বসবাস নেই এই দ্বীপে। সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়াদ্বীপ যাওয়ার জন্য ট্রলার রয়েছে। তবে দ্বীপের মূল সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে এখানে হেঁটে যাওয়াই ভালো। দ্বীপের পূর্ব সৈকত ধরে সকালবেলা হাঁটা শুরু করলে পুরো দ্বীপটি ধীর পায়ে ঘুরে আসা যাবে সন্ধ্যার মধ্যেই। এর মাঝে দুই তিন ঘন্টা স্মরণীয় সময়ও কাটিয়ে নেয়া যাবে ছেড়াদ্বীপে। তবে এজন্য সাথে অবশ্যই দুপুরের খাবার নিয়ে যেতে হবে। কেননা ছেড়াদ্বীপে তেমন কোনো খাবার কিনতে পাবেন না। সেন্টমার্টিনের সমুদ্রসৈকতে স্নান করার মজাই আলাদা। তবে এখানে স্নানে নামার সময় জোয়ার ভাটার খেয়াল রাখবেন অবশ্যই। এখানে কিন্তু কোনো সিগনাল হাউস নেই। ফলে নিজেই হিসাব করে নামতে হবে সৈকতে। নতুবা যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে যে কোন বিপদ। মনে রাখবেন ভাটার সময় কখনো সৈকতে স্নানে যাবে না।

কিভাবে যাবেন : টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার জন্য এখন

চলছে আধুনিক সামুদ্রিক জলযান কেয়ারি সিন্দবাদ। সিটিবির আছে আধুনিক জাহাজ ঈগল। এ বাহন দুটিতে জনপ্রতি যাওয়া আসার ভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা। আর সেন্টমার্টিনে অবস্থান করার জন্য এখন বেশ কয়েকটি হোটেল মোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে ৮০-১২০০ টাকায় থাকার ব্যবস্থা আছে। এখানকার ভালো কয়েকটি হোটেল হলোÑঅবকাশ পর্যটনের সেন্টমার্টিন রিজর্ট, প্রাসাদ প্যারাডাইজ, ব্লু মেরিন রিসোর্ট, সীমানা পেরিয়ে ইত্যাদি।

0 comments:

Post a Comment