Wednesday, September 22, 2010

ইউরোপিয়ান কমিউনিটি (EC)

0 comments
দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার পর একটি শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ইউরোপ গড়ার লক্ষ্যে ১২টি সার্বভৌম রাষ্ট্র যেমন-বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, জার্মানি, গ্রীস, স্পেন, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্যের যৌথ উদ্যোগে ইউরোপিয়ান কমিউনিটি (EC) গঠিত হয়। ইউরোপিয়ান কমিউনিটির জন্ম ১৯৫০ সালের ৯ই মে। তখন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট শুমান (Robert Schuman) বিখ্যাত শুমান পরিকল্পনা, লক্ষ্য ও পদ্ধতি উপস্থাপন করেন। মূলত ইউরোপীয় কমিউনিটির আওতায় রয়েছে ৩টি আলাদা কমিউনিটি; ইউরোপীয় কয়লা ও ইস্পাত কমিউনিটি (১৯৫১-প্যারিস চুক্তি), ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিউনিটি এবং ইউরোপীয় পারমাণবিক শক্তি কমিউনিটি (১৯৫৭, রোম চুক্তি)। কমিশনটির সদর দফতর ব্রাসেলসে অবস্থিত। এর ১৭ জন কমিশনারের মধ্যে প্রতিটি বড় সদস্যরাষ্ট্রের ২ জন করে এবং অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রের ১ জন করে কমিশনার রয়েছে। ইসির সিদ্ধান্তসমূহ প্রস্তাবনা এবং কার্যকর করার ক্ষমতা কমিশনের রয়েছে এবং ইসির মৌলিক নীতিমালা সমুন্নত রাখা এর কাজ। সে ক্ষমতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পষ্ট প্রয়োগ হচ্ছে, ইসি আইন লক্সিঘত হলে কমিশন কর্তৃক বিচারালয়ে সংশ্লিষ্ট সদস্যরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। লুক্সেমবার্গভিত্তিক নিরীক্ষক দফতর ইসির বাজেট বাস্তবায়ন বিষয়ে তদারক করে। পরিষদ ও কমিশনকে সহায়তা করে একটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিটি এবং একটি আঞ্চলিক কমিটি পরামর্শকরূপে কাজ করে। কমিশন তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহের সঙ্গে ইসির চুক্তি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে এবং সেইসঙ্গে এসব দেশে আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতা কর্মসূচির ব্যবস্থা করার জন্য 'ইউরোপীয় কমিউনিটিসমূহের কমিশনের প্রতিনিধি দফতর নামে কূটনৈতিক মিশন স্থাপন করেছে। বর্তমানে ১০০ এরও বেশি ধরনের মিশন রয়েছে এবং প্রয়োজন অনুসারে এ সংখ্যা বাড়ছে। ১৯৯১ সালের নভেম্বরে ইউরোপিয়ান কমিউনিটি জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। এই প্রথমবারের মতো ইসি নিজস্ব অধিকারবলে একটি জাতিসংঘ সংস্থার সদস্যপদ লাভ করল।
**রনক ইকরাম**

0 comments:

Post a Comment