Monday, September 13, 2010

কিভাবে চিনবেন আসল টাকা বা নকল টাকা

0 comments
১০০ বা ৫০০ টাকার নোট হাতে এলে আমরা সবাই একটু উল্টে পাল্টে পরখ করে নিই, পাছে না আবার নকল নোটটি নিয়ে বেকায়দায় পড়তে হয়। তারপরেও সবসময় সে সুযোগ থাকে না। বিশেষ করে, বান্ডিলের টাকার সবগুলো চেক করা সম্ভব হয় না। এই সুযোগটা নিয়ে যে কেউ আপনাকে গছিয়ে দিতে পারে জাল টাকা। তাই জেনে নিন জাল টাকা চেনার যথাযথ উপায়।

কিভাবে চিনবেন জাল টাকা

জাল টাকা চেনার কিছু বেসিক তথ্য আছেÑযা কমবেশি সবারই জানা। সাধারণত ১০০ এবং ৫০০ নোটই জাল হয় বেশি। জাল টাকাগুলো সবসময় নতুন হয় কারণ এ টাকা বেশিদিন ব্যবহার করা যায় না। তাই নতুন নোট হাতে এলেই একটু ভালভাবে পরখ করে দেখবেন। আসল নোট আলোর বিপরীত দিকে ধরলে বাঘের মাথা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম স্পষ্ট দেখা যায়। নকল নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম থাকে না এবং বাঘের মাথাটি থাকে অস্পষ্ট। আসল নোটের দুই পিঠের একই স্থানে সাদা রঙের ‘বি’ লেখা থাকে। নকল টাকায় তা থাকে না। টাকার নোট ৫০০ ও ১০০ লেখার ওপরে সরাসরি তাকালে সোনালি রং এবং তির্যকভাবে তাকালে সবুজ রং দেখা যাবে।

আসল নোটের মাঝ বরাবর আড়াআড়িভাবে চার মিলিমিটার চওড়া হলোগ্রাফিক ফিতা সেলাই করার মতো থাকে। নোট নাড়াচাড়া করলে এই ফিতার রং পরিবর্তন হয়, এবং আলোর দিকে ধরলে এই ফিতার ওপর ‘বাংলাদেশ’ লেখা শব্দটি সোজা এবং উল্টা উভয় ভাবেই পড়া যাবে। আসল নোটের উপরে তিনটি ছোট ছোট বৃত্ত থাকে যা হাত স্পর্শ করলে অমসৃণ মনে হবে। বলা হয়ে থাকে, অন্ধদের আসল নোট চেনার জন্য এই ব্যবস্থা। কিন্তু নকল নোটে এই বৃত্তগুলো মসৃণ থাকে।

আসল নোটে ইংরেজিতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ লেখাটি খুব ছোট আকারে অসংখ্যবার থাকে। এই লেখাগুলো খালি চোখে দেখা যায় না। তবে নকল নোটে এই লেখাটিকে মনে হবে শুধু একটি রেখা। আসল নোট একটু ভারি এবং কড়কড়ে হয়। হাতের ভিতরে দলা পাকালে এই নোট দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে নকল নোট খুবই হালকা পাতলা হয়। ভিজা নকল নোট শুকানোর পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না।

আসল নোটের দুই পিঠে ফুল-পাতা সম্বলিত সুক্ষ্ম রেখার পথে লেখা আছে ‘৫০০’ এবং ‘১০০’। যা শুধু বিশেষ কোণে থেকে তাকালেই চোখে পড়বে।

টাকা চেনার ক্ষেত্রে এসব বিষয় লক্ষ্য করলে আশা করা যায় আপনি নকল টাকা এড়িয়ে চলতে পারবেন। তারপরেও অসাবধানতাবশত যদি নকল নোট হাতে এসেই যায়, তবে একজন সচেতন এবং সু-নাগরিক হিসেবে আপনার উচিত নোটটি নষ্ট করে ফেলা। যাতে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।

0 comments:

Post a Comment