Saturday, September 18, 2010

রাজধানীতে ৫ হাজার নক্শা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ

0 comments
রাজধানীতে অপরিকল্পিত নগরায়ন বাড়ছে। রাজউকের নকশা অমান্য করে রাজধানীতে নির্মাণ করা হচ্ছে পাঁচ হাজার বহুতল ভবন। ফলে গোটা রাজধানী জুড়ে ভূমিকম্পের ঝুঁকি প্রকট হয়ে উঠছে। মূল নকশা অবজ্ঞা করে অসাধু মালিকরা ইচ্ছামতো ভবনগুলো নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যে পরিমাণ জায়গা ছাড়ার কথা, তা ছাড়া হচ্ছে না। নিচে ছাড়লেও ওপরে গিয়ে বাড়ানো হচ্ছে প্রতিটি ভবনের স্পেস। কেউবা রাস্তার জায়গা দখল করে ভবন বানিয়েছেন। আবার ছয়তলার অনুমোদন নিয়ে ১০, ১২ এমনকি ২২ তলা ভবনও নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারত নির্মাণ বিধিমালার কোন তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। অবশ্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মান্নান খান ইত্তেফাককে বলেন, এসব অবৈধ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক ইতিমধ্যে রাজউক ৫ হাজার ভবনের মালিকের নামে চূড়ান্ত নোটিস জারি করেছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও জনসাধারণের জন্য হুমকিস্বরূপ ভবনগুলো পর্যায়ক্রমে অপসারণ করা হবে।
জানা গেছে, রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই পরিবাগে গড়ে তোলা হয়েছে ২০ তলা গার্ডেন টাওয়ার, গুলশান এভিনিউতে নয় তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ২২ তলা জব্বার টাওয়ার, কাওরান বাজারে রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল বিজিএমইএ ভবন। একইভাবে গুলশান এভিনিউতে ১৩ তলার অনুমোদন নিয়ে একটি ২০ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। গুলশান এভিনিউতে ওয়েস্টিন হোটেল ভবনের অনুমোদন নিয়েও রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। ইতিমধ্যে একাধিকবার হোটেলের সামনের বর্ধিতাংশ ভাঙ্গা হলেও অননুমোদিত মূল ভবনের অংশে হাত দেয়া হয়নি।

রাজউক সূত্র জানায়, এসব ভবন মালিককে রাজউকের পক্ষ থেকে দফায় দফায় নোটিস দেয়া হয়েছে। মাঝে-মধ্যে অভিযান চালিয়ে অবৈধ অংশ ভেঙ্গেও দেয়া হয়েছে। এরপরও কাজ হয়নি। অভিযানের পরপরই আবার সেগুলো গড়ে উঠেছে। তাই এখন শক্ত পথে যাচ্ছে রাজউক। ওইসব ভবনের পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেবা সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে চলতি মাসেই রাজউক এই অভিযানে নামবে। আর যে ভবনগুলোতে এখনো সেবা সংযোগ দেয়া হয়নি, সেগুলোতে আর সংযোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা ইত্তেফাককে জানান, সেবা সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকে বৈঠক করে তাদের হাতে নকশাবহির্ভূত নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা তুলে দেয়া হয়েছে। তিতাস, ডেসকো, ডিপিডিসি ও ঢাকা ওয়াসার সহযোগিতা নিয়ে এ অভিযান সফল করা হবে। যেসব ভবনের কারণে নগরবাসীর বেশি সমস্যা হয়, সেগুলোতে অভিযান চলবে আগে।
রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন) শেখ মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮-এর ২৯ বিধি অনুযায়ী নকশা অমান্য করে ভবন নির্মাণ করা হলে রাজউক সেবা সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে ওইসব ভবনের সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে রাজউকই যাতে মূল ভূমিকা পালন করতে পারে, সে জন্য সর্বক্ষণ মোবাইল কোর্ট চালাতে মন্ত্রণালয়ের কাছে রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাহী ক্ষমতা দেয়ার অনুরোধ করে চিঠি পাঠানো হলে মন্ত্রণালয়ও এব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছে।

জানা গেছে, নকশা অমান্য করার চিত্র দেখার পর রাজউক এসব ভবন মালিককে প্রথমে নকশার অনুলিপি চেয়ে চিঠি দেয়। পরে দ্বিতীয় দফায় কারণ দর্শিয়ে ও তৃতীয় দফায় অবৈধ অংশ নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়ে মোট তিনবার নোটিস দেয়। কিন্তু নোটিসের নির্দেশনা অনুসরণ না করে ভবন মালিকরা রাজউকের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে অবৈধ অংশের বৈধতা প্রাপ্তির চেষ্টা শুরু করে। এটাকে পুঁজি করে রাজউকের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যাপক উৎকোচ-বাণিজ্যও চালিয়ে যাচ্ছেন।

রাজউকের তালিকাভুক্ত নির্মাণাধীন বেশ কয়েকটি ভবনে সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোন কোন ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কয়েকটিতে কাজ চলছে। আবার কয়েকটিতে নির্মিত অংশ ব্যবহারও করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এসব ভবনে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগও নেয়া হয়েছে।

পুরনো ঢাকার মোশতাক আহমেদ জানান, ওয়ারীর শশীমোহন বসাক লেনে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি রাস্তা দখল করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে চলেছে। প্রতিকারের আশায় ভুক্তভোগীরা ভবন ও ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজউকে একাধিক আবেদন করেও সুফল পাচ্ছে না।

মোবারক হোসেন নামে এক বাড়ির মালিক জানান, মিরপুর ২২ নম্বর রোডের একটি প্লটে আমিনুল ইসলাম নামে একব্যক্তি শতভাগ নকশা বরখেলাপ করে বাড়ি বানিয়েছেন। তার ভবনটি তালিকায় নেই। কারণ রাজউকের এক কর্মকর্তার তিনি আত্মীয়। এ ছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধেও নকশা না মেনে বাড়ি বানানোর অভিযোগ রয়েছে। তালিকায় সেটিরও নাম নেই বলে জানা গেছে। একইভাবে মিরপুর পশ্চিম কাজীপাড়ায় ৬৪৫/২/২ হোল্ডিং এর বাড়িটি সম্পূর্ণ নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মিত হচ্ছে। নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে রাজউক বার বার নোটিস দেয়া সত্ত্বেও তা অব্যাহত রয়েছে।

রাজউকের অথরাইজড অফিসার-১ মো. সুমন বলেন, 'এসব ভবনমালিক পদে পদে নকশার বরখেলাপ করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে ফুটপাতের জায়গাও ভবনের ভেতরে ঢুকিয়ে নিয়েছেন। নকশা অনুসরণ না করায় প্রত্যেককে চূড়ান্ত নোটিস দেয়া হয়েছে।

১০১ ইন্দিরা রোডে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন এ বাড়িতেও গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া হয়েছে। দোতলায় বাড়ির মালিক থাকছেন। রাজউক জানিয়েছে, নকশা অনুসরণ না করায় বাড়িটির কিছু অংশ গুঁড়িয়েও দেওয়া হয়েছিল। তালিকায় এটির অবস্থান ১৯৩। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডের ২১ নম্বর প্লটে দুই বিঘা জমির ওপর একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ছয়তলা ভবন বানিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করে দিয়েছে। এটিও নকশা না মানার তালিকায় আছে। প্রায় ৪০টি পরিবার সেখানে বসবাস করছে। বাড়ির কেয়ারটেকার মোসলেম উদ্দিন জানান, ছয় মাস হলো সব ফ্ল্যাট মালিক এখানে উঠেছেন। একই অবস্থা একই রোডের ১৬ নম্বর প্লটের। তালিকায় এটির সিরিয়াল ২৫।

রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রোকনউদ্দৌলা বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ ধরনের অসংখ্য ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণ করা হয়েছিল। নামিদামি শপিং মল বা ভবনও ছিল। পরে মালিকরা আবার সেগুলো নিজেদের মতো তৈরি করে নেন। জনবলের সংকট থাকায় এ দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে রাজউক যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তাছাড়া আইনী জটিলতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে রাজউক অসহায় হয়ে পড়ছে।

৯ তলার অনুমোদন নিয়ে ২২ তলা

ঢাকার গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরের কাছে ২২ তলা জব্বার টাওয়ারের নয়তলা পর্যন্ত অনুমোদন আছে। বাকি ১৩ তলা অবৈধ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদনহীন ভবনের তালিকায়ও জব্বার টাওয়ারের নাম আছে। ভবনের মালিক জাতীয় পার্টির সাতক্ষীরা-২ আসনের সাংসদ এম এ জব্বার ও তার ভাই এম এ গফ্ফার। গুলশান এভিনিউয়ের ১৩৫ নম্বর সড়কের ৪২ নম্বর প্লটে ১৩ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ভবনের উচ্চতা ২২০ ফুট। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিধি অনুসারে গুলশান এভিনিউ এলাকায় ১৫০ ফুটের (১৫ তলা) বেশি উঁচু ভবন নির্মাণ করা যায় না। ২০০৭ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। রাজউকের নথিতে দেখা যায়, এম এ জব্বার ও এম এ গফ্ফার ২০০৪ সালের ২১ জানুয়ারি নয় তলা ভবন নির্মাণের আবেদন করেন। ২০০৫ সালের ২৭ অক্টোবর ১৫ তলা বাণিজ্যিক ভবন তৈরির জন্য আবেদন করেন। ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজউকের বিসি কমিটিতে (বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন) আবেদন উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভবন নির্মাণ করায় কমিটি ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী আবেদনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগেই নকশা না মেনে ভবন নির্মাণের কারণে ২০০৫ সালের ২৭ নভেম্বর, ২০০৬ সালের ২৩ জুলাই এবং একই বছরের ৯ আগস্ট তিন দফায় নোটিস দেয়া হয় ভবন মালিককে। মালিকদের আবেদনের পর ২০০৭ সালের ২৮ জুন আবারও বিসি কমিটিতে তা পর্যালোচনা করা হয়। কমিটি ১৫ তলা ভবনের অনুমোদন হওয়ার আগেই নির্মাণকাজ করা এবং নির্মাণ ত্রুটির কারণে নকশা অনুমোদন না করার সিদ্ধান্ত জানায়। ওই বছরের ১০ জুলাই আবেদনকারী রাজউকের আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে ২২ তলা ভবনের নকশা অনুমোদনের জন্য দাখিল করেন। কিন্তু আবেদনের সঙ্গে কোনো নকশা ফি বা জমার রসিদ দেয়া হয়নি। ২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ তাদের আবেদন নাকচ করে দিলেও মালিকপক্ষ ২২ তলা ভবন নির্মাণ করেন।

পরীবাগে ২০ তলা ভবন

রাজধানীর পরীবাগে অভিজাত সব উঁচু ভবনের পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে রং-বর্ণহীন ২০ তলা ভবন গার্ডেন টাওয়ার। প্রবেশপথে কোনো ফটক পর্যন্ত নেই। ভবনের চারদিকে প্রয়োজনীয় জায়গাও রাখা হয়নি। রাজউক দাবি করেছে, ভবনটি পুরোটাই অবৈধ। কারণ, এটি নির্মাণের জন্য রাজউকের কোনো অনুমোদনই নেয়া হয়নি। তবে ভবন নির্মাণকারীদের দাবি, এর অনুমোদন আছে। গার্ডেন টাওয়ার নামের এই ভবনে অনেকটা নিরাপত্তাহীনভাবে বসবাস করছে ৬৮টি পরিবার। পরীবাগ শাহ সাহেব রোডের ১ নম্বর প্লটে এর অবস্থান হলেও শেরাটন হোটেলের সামনের রাস্তা থেকে পশ্চিম দিকে তাকালেই চোখে পড়ে ভবনটি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালে ১০ কাঠা জায়গার ওপর ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। জমির মালিক রিয়াজ সেলিম বিদেশে থাকেন। মোস্তাক আহমেদ মল্লিক ও শফিউল ইসলাম ওরফে ছানা নামের দুই ব্যক্তি আবাসন নির্মাণকারী (ডেভেলপার) হিসেবে ভবনটি তৈরি করেন। ২০ তলা ভবনের ১৮ তলা পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্ল্যাট সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। ওপরের দুটি তলায় শুধু ছাদ করে রাখা আছে। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরের কেন্দ্রস্থলে গড়ে ওঠা এই ভবনটির কোনো রকম খোঁজ রাখেনি রাজউক। এক-এগারোর পর রাজধানীর উঁচু ও অনুমোদনহীন ভবনের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হলে রাজউকের পরিদর্শক ভবনটির সন্ধান পান। রাজউক সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে (নথি নং ২২৩/০৭) অনুমোদিত নকশা জমা দেয়ার জন্য গার্ডেন টাওয়ারের মালিকপক্ষকে অনুরোধপত্র পাঠায় রাজউক। কিন্তু নকশা জমা না দেয়ায় রাজউক তাদের কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়। নোটিসে বলা হয়, নকশা প্রদান না করায় কেন এই বাড়ি সাত দিনের মধ্যে ভাঙা হবে না, তা জানাতে হবে। পরে চূড়ান্ত নোটিস করে বলা হয়, বৈধ নকশা প্রদর্শন এবং সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হওয়ায় রাজউক বাড়িটি ভেঙে ফেলবে এবং এ বাবদ যাবতীয় খরচ মালিকপক্ষকে বহন করতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ একটি অনুমোদিত নকশার (৩সি-৩৬৫/৯৯) ফটোকপি দাখিল করে। কিন্তু রাজউকের রেকর্ড কক্ষ থেকে বলা হয়, এই অনুমোদিত নকশাটি শহর ঢাকা মৌজায় (পুরান ঢাকাকে বলা হয়) অবস্থিত ১৭ তলার একটি ভবনের; যার দাগ নম্বর ৮ (অংশ)। অর্থাৎ ভবনটি জাল নকশার ওপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছে।

গুলশান এভিনিউতে ২০ তলা ভবন

৭৮ নম্বর গুলশান এভিনিউতে রাজউকের নকশা বহির্ভূত ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে প্রিমিয়ার স্কোয়ার নামে ২০ তলা ভবন। রাজউক থেকে জানানো হয়েছে, ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে ২০ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। রাজউকের বাধা উপেক্ষা করেই এই বিশাল ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রিমিয়ার স্কোয়ারের কেয়ারটেকার কামাল হোসেন ইত্তেফাক প্রতিবেদককে জানান, রাজউকের সকল নিয়ম-কানুন মেনেই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভবনের অননুমোদিত অংশ নির্মাণের বিষয়টি সঠিক নয়। উল্লেখ্য, এদিকে গুলশান-২ এভিনিউ এলাকায় আরো একটি ২২ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। রাজউক সূত্র জানায়, এই ভবনটিও অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়ে রাজউকের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত নোটিস পাঠানো হয়েছে।
০০ মোহাম্মদ আবু তালেব

0 comments:

Post a Comment