Saturday, September 25, 2010

মানুষ লম্বা বা বেঁটে হয় কেন?

0 comments
লম্বা বা বেঁটে হওয়া নির্ভর করে বংশগত বৈশিষ্ট্যের ওপর, যা আসে বাবা ও মায়ের ক্রোমোজোম থেকে। বংশগত কারণ ছাড়াও গ্রোথ হরমোনের প্রভাব লম্বা বা বেঁটে হওয়ার ওপর যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে। গ্রোথ হরমোন মস্তিষ্কে অবস্থিত পিট্যুইটারি গ্রন্থি থেকে বেরোয়। অস্থি তৈরি করতে ও লম্বা অস্থির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এই হরমোন। অস্থি তৈরির কাজ শেষ হওয়ার আগেই এই হরমোনের ক্ষরণ বেশি হলে তৈরি হয় দৈত্যাকার মানুষ। অস্থি তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পর এই হরমোন বেশি বেরোলে সৃষ্টি হয় গরিলার মতো চওড়া হাড়যুক্ত মানুষের। এই বৈশিষ্ট্যকে বলে অ্যাক্রোমেগালি। গ্রোথ হরমোনের ক্ষরণ খুব কম হলে তৈরি হয় বামনাকৃতি মানুষ। সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা লম্বায় খাটো হয়। স্ত্রী-প্রজনন হরমোন ইস্ট্রোজেন বয়ঃসন্ধির সময়ে গ্রোথ হরমোন ক্ষরণের হার কমিয়ে দেয়। তাই মেয়েরা কম লম্বা হয়। আর পুরুষ প্রজনন হরমোন অ্যান্ড্রোজেন লম্বা হতে সাহায্য করে নির্দিষ্ট কিছু সময় পর্যন্ত। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে বেরোনো থাইরক্সিন ও ট্রাই আয়োডো থাইরোনিন হরমোন দুটির ওপরেও মানুষের লম্বা ও বেঁটে হওয়া নির্ভর করে।

0 comments:

Post a Comment