Monday, September 20, 2010

কমনওয়েলথ

0 comments
১৮৪০ সালে কানাডায় দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কমনওয়েল্থের উদ্ভব হয়। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে কমনওয়েল্থের উদ্ভব। কমনওয়েল্থ হল কয়েকটি সার্বভৌম রাষ্ট্র দ্বারা গঠিত একটি স্বেচ্ছামূলক সংস্থা। ১৯২৮ সালে ইম্পেরিয়াল কনফারেন্সে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড এ ৪টি ডোমিনিয়নকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সমান মর্যাদাসম্পন্ন রাজনৈতিক সত্তা নামকরণ করা হয়। ১৯৩১ সালে এ সংগঠনটিকে আইনানুগ করা হয়। ১৯৪৯ সাল থেকে আধুনিক কমনওয়েল্থের সূত্রপাত ঘটে। বর্তমানে ৫০টি রাষ্ট্রকে এ সংগঠনের সদস্য মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। এ বিশেষ সদস্য রাষ্ট্র কমনওয়েল্থভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দিতে পারে না। তবে কমনওয়েল্থ কর্তৃক প্রদত্ত কারিগরি সাহায্য লাভ করে থাকে। কমনওয়েল্থের কোনো সংবিধান নেই। ১৯৭১ সালের সিঙ্গাপুরের সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানদের গৃহীত নীতিসমূহ অনুসারে কমনওয়েল্থের সদস্য রাষ্ট্র কার্যাবলী পালন করে থাকে। এ ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির সদর দফতর লন্ডনের মালবরো হাউসে। কমনওয়েল্থসের কার্য পরিচালনার জন্য একটি সচিবালয় রয়েছে। সচিবালয় কমনওয়েল্থভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রের নিকট দায়িত্বশীল। সদস্য রাষ্ট্রের প্রেরিত কর্মচারীদের নিয়ে সচিবালয় গঠিত এবং এর ব্যয়ভারও সদস্য রাষ্ট্র বহন করে থাকে। সেক্রেটারি জেনারেল সচিবালয়ের প্রধান। তিনি কমনওয়েল্থভুক্ত রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক ৫ বছরের জন্য নিযুক্ত হন। তার সাহায্যকারী হিসেবে দুইজন উপ-মহাসচিব এবং দুইজন মহাসচিব থাকেন। কমনওয়েল্থের সর্বোচ্চ কর্তৃত্বসম্পন্ন সংস্থা হলো রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠক। প্রতি দুইবছর পর পর তারা মিলিত হয়ে জাতীয়, আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনেতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। এই আলোচনা গোপনে হয়ে থাকে। রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠকের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। বিভিন্ন বিষয়সমূহের মতৈকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা চলে। রাষ্ট্রপ্রধানদের বেঠক শেষ হওয়ার পর বিবৃতি প্রকাশিত হয়।

0 comments:

Post a Comment