Wednesday, September 22, 2010

ভৌতিক অগ্নিকাণ্ড

33 comments
আগুনের উৎসের কাছে না গিয়েও মানুষের দেহে হঠাৎ আগুন লেগে যাওয়া পৃথিবীর এক অন্যতম বড় রহস্য। এ ধরনের ঘটনার শিকার যারা হয়েছেন, তাদের মধ্যে কিছু লোক আহত হয়ে কোনোভাবে বেঁচে গেছেন। অন্যান্য ক্ষেত্রেও এ রহস্যময় আগুন তাদের দেহকে পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই করে ফেলেছে। আবার কিছুক্ষেত্রে দেখা গেছে, মানুষের দেহে আগুন লেগেছে ঠিকই কিন্তু তা খুব কাছের কোনো বস্তুকে স্পর্শ পর্যন্ত করেনি। বিজ্ঞানীরা এ ধরনের ঘটনার নাম দিয়েছেন 'কেইসেস অব স্পনটেরিয়াস হিউম্যান কর্মবার্সন'। সংক্ষেপে বলা হয় এসএইচকে। সপ্তদশ শতাব্দী থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত সারা বিশ্বে এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। তার কয়েকটি এরকম।

এক.

সর্বপ্রথম এ ধরনের ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় ১৬৭৩ সালে। প্যারিসের এক মহিলা প্রথম শিকার হন। একদিন বিকালে তিনি সাধারণ খড়ের বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন। হঠাৎ রাতে কোনো কারণ ছাড়াই তার শরীরে আগুন জ্বলে ওঠে। সকালে প্রতিবেশীরা শুধু তার মাথা এবং আঙ্গুলগুলো খুঁজে পায়। এগুলো ছাড়া তার পুরো শরীরই পুড়ে যায়।

দুই.

১৭৮৮ সাল। ইংল্যান্ডের ঘটনা। এক ভদ্রলোক তার ঘরে প্রবেশ করেই বিস্মিত হয়ে গেলেন। তিনি দেখতে পেলেন, গৃহপরিচারিকা ঘর পরিষ্কার করছে এবং তার পেছনেই একটি অগি্নশিখা নেচে বেড়াচ্ছে। মেয়েটিকে সতর্ক করার জন্য তিনি চিৎকার দিয়ে উঠলেন। সতর্ক করার আগ পর্যন্ত মেয়েটি আগুন সম্পর্কে কিছুই জানত না। ভদ্রলোক নেভানোর চষ্টা করে ব্যর্থ হলেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে মেয়েটি এ আগুনে পুড়ে মারা যায়।

তিন.

ইংল্যান্ডের সাউদার্মটনের ছোট একটি গ্রাম বাটল কস্ হেথ। সেই গ্রামে জনকিলি ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন বসবাস করছিলেন। ১৯০৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রতিবেশীরা তাদের বাড়ি থেকে তীক্ষ্ন চিৎকার শুনতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা এসে ঘরের মাঝখানে আগুন দেখতে পায়। অন্যদিকে, জনকিলির মৃত দেহ পড়ে আছে। তার পুরো শরীর পুড়ে গেছে। আর স্ত্রীর ভাগ্যেও ঘটেছে একই পরিণতি। ইজিচেয়ারে বসে আছে এক বিশাল কয়লা।

চার.

নরফক আইল্যান্ডে গ্রীষ্ম অবকাশ কাটানোর জন্য জাহাজের কেবিন ভাড়া করেন মেরি পারপেন্টার। স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে কেবিনে বসে গল্প করার সময় তার দেহে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। কয়েক মিনিটে পুড়ে যান তিনি। অথচ অন্য কেউ সামান্যও আহত হয়নি। এমনকি কেবিনেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।
**রনক ইকরাম**

33 comments:

Post a Comment