Thursday, September 16, 2010

আতিয়া মসজিদ

0 comments
টাঙ্গাইল শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া গ্রাম। এ গ্রামের লৌহজং নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত আতিয়া মসজিদ। লাল ইটে তৈরি এ মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত চমৎকার। মসজিদটি মূলত বর্গাকৃতির এক গম্বুজবিশিষ্ট। এছাড়া পূর্ব দিকে অপেক্ষাকৃত ছোট তিন গম্বুজবিশিষ্ট আয়তাকার বারান্দা রয়েছে। বারান্দা থেকে মসজিদে প্রবেশ করার জন্য রয়েছে তিনটি প্রবেশপথ। মসজিদের কিবলা দেয়ালে রয়েছে তিনটি অলঙ্কৃত মেহরাব। আতিয়া মসজিদের পূর্ব ও উত্তর দেয়ালে রয়েছে চমৎকারসব পোড়ামাটির নকশা। সুলতানি ও মুঘল স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যের আতিয়া মসজিদের নির্মাণকাল ১০১৯ হিজরি বা ১৬১০-১১ খ্রিস্টাব্দ। জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত মসজিদের একটি শিলালিপি থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। জানা যায়, সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় বায়েজীদ খান পন্নীর পুত্র সাইদ খান পন্নী শাহ; বাবা কাশ্মীরির সম্মানার্থে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদের পশ্চিম পাশে একটি বড় পুকুরও খনন করা হয়Ñযা এখনও বিদ্যমান। মসজিদের পুরোনো শিলালিপিটির অনুকরণে নির্মিত একটি শিলালিপিÑযা কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের ওপরে স্থাপন করা আছে। ১৮৩৭ সালে এবং ১৯০৯ সালে মসজিদটি দুবার সংস্কার করা হয়েছে। আতিয়া মসজিদ বাংলাদেশ সরকারের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধীনে সংরক্ষিত স্থাপনা।
জমিদার বায়েজিদ খান পন্নীর পুত্র সাঈদ খান পন্নী ১৬০৬ সালে আতিয়া মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ৫৯ ফুট ও ৪০ ফুট। দেয়াল সাড়ে ৭ ফুট প্রশস্ত। চার কোণে চারটি বিরাট অষ্টকোনাকৃতির মিনার। প্রধান কক্ষ ও বারান্দা_এ দুই ভাগে মসজিদটি বিভক্ত। প্রধান কক্ষ বর্গাকৃতি, ওপরে চমৎকার একটি গম্বুজ। পূর্ব পাশে বারান্দা। বারান্দার ওপর রয়েছে তিনটি ছোট গম্বুজ। ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদে সুলতানি ও মোগল আমলের স্থাপত্য শিল্পরীতির মিশেল দেখা যায়। টাঙ্গাইল শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি অটোরিকশায় আতিয়া মসজিদ যেতে ভাড়া লাগে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।

0 comments:

Post a Comment