Thursday, September 16, 2010

দ্য ডা ভিঞ্চি কোড

0 comments
আকাশ সংস্কৃতির জোয়ার আর মারদাঙ্গা মুভি ও মিউজিকের ভিড়ে আমাদের বই পড়ার অভ্যাসটি যতোই কমুক না কেন; একটি ভালো বইয়ের কদর সবসময়ই আলাদা। আর তাই নানা সময়ে সাহিত্য আর কল্পনার মিশেলে বহু গল্প-উপন্যাস যেমন ধ্রুপদী সৃষ্টি হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে, তেমনি এইসব সৃষ্টি উৎসাহিত করেছে সংস্কৃতির অপরাপর ধারাকেও। ২০০৩-এ প্রকাশিত আলোচিত উপন্যাস ‘দ্য ডা ভিঞ্চি কোড’ সম্পর্কেও এ কথাটি প্রযোজ্য। ড্যান ব্রাউনের লেখা এই উপন্যাসটি অবলম্বনে ইতিমধ্যেই নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রÑযা বিশ্বের নানা দেশের চলচ্চিত্রমোদীদের যেমন মুগ্ধ করেছে, তেমনি যুগিয়েছে আলোচনার খোরাকও। ড্যান ব্রাউনের উপন্যাস অবলম্বনে ‘দ্য ডা ভিঞ্চি কোড’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০৬ সালে। আর এটি পরিচালনা করেন রন হাওয়ার্ড। চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন চরিত্রে দেখা মেলেÑটম হ্যাংকস্, অড্রে টোটু, ইয়ান ম্যাককেলেন, আলফ্রেড মোলিনার মতো তারকাদের। রন হওয়ার্ড তার চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে গিয়ে দু-একটি জায়গায় ব্যাখ্যামূলক প্লট যোগ করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনুসরণ করেছেন মূল উপন্যাসের গল্পকে। এ কারণে ধর্মীয় পটভূমিকে মাথায় রেখে ড্যান ব্রাউন তার উপন্যাসে যে রহস্য, রোমাঞ্চ, কল্পনা আর অপরাধচিত্রের মিশেল ঘটিয়েছিলেন তার দেখা মেলে রন হাওয়ার্ডেও চলচ্চিত্রায়নেও। মূলত প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে চলে আসা রোমান ক্যাথলিক চার্চের একটি বিতর্কের পটভূমি থেকেই এগিয়ে যায় ‘দ্য ডা ভিঞ্চি কোড’-এর কাহিনী। হলি গ্রেইল লিজেন্ড এবং ক্রিশ্চিয়ানিটির ইতিহাসে ম্যারি ম্যাগডালেন-এর ভূমিকা খুঁজতে গিয়েই এই চলচ্চিত্রে দর্শকদেও পরিচয় ঘটে ভিন্ন এক ঘটনা প্রবাহের সাথে। তবে উপন্যাস ও চলচ্চিত্রের এই প্রচেষ্টা পাঠক-দর্শকদের কাছে সমাদৃত হলেও ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়, বিশেষত ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃপক্ষ, ইউরোপিয়ান আর্ট ক্রিটিক্স এবং ঐতিহাসিকদের কাছে।

0 comments:

Post a Comment