Wednesday, September 8, 2010

ঢাকার ঈদ

0 comments
বিশ্বের অন্যান্য মুসলিমপ্রধান দেশের মতো বাংলাদেশেও ঈদুল ফিতরই হলো বৃহত্তম বাৎসরিক উৎসব। বাংলাদেশে ঈদের আগে গোটা রমজান মাস ধরেই উৎসব উৎসব আমেজ পরিলক্ষিত হয়। এ সময় মার্কেট আর দোকানপাটগুলোয় সারা মাসই বিরতিহীন কেনাকাটা চলে। অধিকাংশ পরিবারই ঈদের সময় নতুন পোশাক কেনে। আর ঈদে যেন এক অপরিচিত নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা। শেকড়ের টানে অধিকাংশ মানুষই ঈদে ঘরমুখো হয়। ফলে ঢাকার ব্যস্ততা আর জাঁকজমক কমে যায় আশাতীত। তাই বলে ঢাকার ঈদের জৌলুসের কোনো কমতি থাকে না।
ঢাকার আদি মসজিদ এবং অন্যান্য স্থাপনা থেকে এখানকার মুসলমানদের আদি অস্তিত্ব খুব সহজেই প্রমাণিত হয়। সেই সুলতানী আমল থেকেই ঢাকায় আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ। তাই ঢাকার ঈদের রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য এবং ধরন। মোগল আমল থেকেই জাঁকজমকের সঙ্গে ঈদ উৎসবে শামিল হতো সব শ্রেণির মানুষ। বাংলার রাজধানী হিসেবে তখনকার জাহাঙ্গীরনগরে (ঢাকা) ঈদ উৎসব পালন করা হতো জমকালোভাবে। একসময় ঢাকা মোগল রাজধানীর গৌরব হারায়। কিন্তু তবুও নায়েবে-নাজিমদের আমলে ঢাকায় ঈদের চাঁদ দেখা, ঈদ জামাত, ঈদ মিছিল ও ঈদমেলার জৌলুস বজায় ছিল। ইংরেজ শাসনামলেও এর কোনো পরিবর্তন হয়নি। তখনকার নবাব পরিবারগুলোর কল্যাণে ঢাকার ঈদ জৌলুসের পুরনো ধারাটা মোটামুটি অক্ষত ছিল। তবে পাকিস্তান আমল থেকে সামাজিক আচারের বদলে ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক হয়ে উঠতে থাকে ঈদ উদযাপন। তবে কালের বিবর্তনে ঈদ ঐতিহ্যের সেই পুরনো ধারাগুলো হারিয়ে গেছে। আজকের বাংলাদেশ আমলে এক ঈদ জামাত ছাড়া আর কোনো ঐতিহ্যবাহী আয়োজন স্বরূপে নেই।

চাঁদ দেখা নিয়ে সেই সুপ্রাচীনকাল থেকেই ঐতিহ্যবাহী রীতির প্রচলন ছিল। ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায়, রমজান মাসের চাঁদ দেখা থেকে শুরু হতো ঈদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। ঈদের চাঁদ দেখার পর তা পরিণত হতো উৎসবে। মোগল সংস্কৃতির এ ধারা ঢাকা নগরে দীর্ঘদিন অব্যাহত ছিল। মোগলদের পর ঢাকার নায়েবে-নাজিমদের আমলে নিমতলী প্রাসাদকে কেন্দ্র করে চাঁদ দেখা উৎসব এবং ঈদ মিছিলের আয়োজন করা হতো। মোগল আমলে ঢাকায় ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে সুবেদার ইসলাম খানের সেনাপতি মির্জা নাথান তার বাহারীস্তান-ই-গায়বী' গ্রন্থে লিখেছেন_ 'সন্ধ্যায় মোমবাতির আলোয় যখন নতুন চাঁদ দেখা গেল, তখন শিবিরে বেজে উঠল শাহী তূর্য। একের পর এক গোলন্দাজ বাহিনী ছুঁড়তে থাকে গুলি, যেন তা আতশবাজি। সন্ধ্যা থেকে মাঝরাত পর্যন্ত চলে এ আতশবাজি। শেষ রাতের দিকে বড় কামান দাগানো হয়। তাতে সৃষ্টি হয় ভূমিকম্পের অবস্থা।' মোগল আমল ছাড়াও ইংরেজ আমলেও ঢাকায় চাঁদ দেখার এমন আয়োজন অব্যাহত থাকে। তখন ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে ছোট-বড় সবাই চাঁদ দেখার জন্য অপেক্ষা করত। চাঁদ দেখামাত্র চারদিকে হৈচৈ ও আনন্দ-উৎসব শুরু হয়ে যেত। সবার পধ্যে খুশির একটা নীরব ধারা বয়ে যেত। ঈদের চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে প্রত্যেকেই ব্যস্ত হয়ে ওঠে। ছোটরা পটকা-আতশবাজি নিয়ে মেতে উঠত। শিশুদের এই মাতামাতি অবশ্য এখনো অনেকটা টিকে আছে। ঈদের চাঁদ দেখা উৎসবের ক্ষেত্রে ঢাকার নবাববাড়ির বিশেষ ভূমিকার কথা জানা যায়। আহসান মঞ্জিলকে ঘিরে নগরবাসী চাঁদ দেখা উৎসব পালন করত। আহসান মঞ্জিলের ছাদে বসে নবাববাড়ির সদস্যরা প্রথম চাঁদ দেখে কামান দাগিয়ে কিংবা আতশবাজি পুড়িয়ে তা জনগণকে জানাত। এসবের আওয়াজ শুনে তারা নিশ্চিত হতেন ঈদের চাঁদ দেখা গেছে। এরপর শুরু হতো কুশল বিনিময়। জানা যায়, নবাব স্যার খাজা আব্দুল গনির (১৮১৩-১৮৯৬ খ্রি.) সময় থেকে চাঁদ দেখা, ঈদ উৎসব পালন ও ঈদ মিছিল জাঁকজমকভাবে শুরু হয়। এরপর নবাব আহসান উল্লাহ (১৮৪৬-১৯০১ খ্রি.) ও নবাব সলিমুল্লাহ (১৮৭১-১৯১৫ খ্রি.) প্রমুখ ঢাকার চাঁদ দেখা ও ঈদ মিছিল পালন করেছেন। বুড়িগঙ্গা নদীর ঘাটে তাঁদের কিছু বজরা বাঁধা থাকত। চাঁদ দেখার জন্য সেসব বজরা ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে চাঁদ দেখা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগের পতো উৎসাহ লক্ষ করা যায় না। কেননা জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির খবর শোনার জন্য আকাশের বদলে মানুষের চোখ থাকে টেলিভিশনের পর্দায়। চাঁদ ওঠার খবর পাওয়া গেলে শিশুরা বিচ্ছিন্নভাবে পটকা ফাটায় ও আতশবাজির উৎসব করে থাকে। দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি চাঁদ দেখা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশ থেকে খোঁজখবরের পর জাতীয় কমিটি ঈদের ঘোষণা দেয়। সেক্ষেত্রে আগের মতো আর উৎসাহ-উদ্দীপনার দেখা পাওয়া যায় না। সবই আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। ঢাকা শহরে ঈদের নামাজের সবচেয়ে বড় জামাত হয় সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও অনুষ্ঠিত হয় বড়সড় ঈদের জামাত। তবে প্রাচীনত্ব বিবেচনায় এগিয়ে আছে ১৪৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত নারিন্দার বিনত বিবির মসজিদ। এটি ঢাকার প্রথম মসজিদ। এখানে ঈদের জামাত হতো বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন। বাংলার সুলতান ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে ১৪৮০ সালে মিরপুরে নির্মিত হয়েছিল একটি মসজিদ, যেখানে গড়ে উঠেছে হজরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ.)-এর মাজার। এখানেও কয়েক শ' বছর ধরে বড় আকারের ঈদের জামাত হয়ে আসছে। তবে ঢাকা নগরের প্রথম পরিকল্পিত ঈদগাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১৬৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতমসজিদ রোডের ধানমন্ডি ঈদগাহকে। তখনকার সময়ে নগরের জনসংখ্যানুপাতে ঈদগাহ ছিল হাতেগোনা দু'একটি। ধীরে ধীরে নগরায়ণের ফলে ঐতিহ্য হারিয়ে যান্ত্রিকতার অনুপ্রবেশ ঘটে। বদলে যেতে থাকে চারপাশ। ঈদগাহের সংখ্যা বাড়লেও ঐতিহ্য নিয়ে আজো টিকে আছে জাতীয় ঈদগাহ, ধানমন্ডি ঈদগাহ, শাহ আলী মাজার প্রাঙ্গণসহ বেশকিছু স্থান। বর্তমানে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও নগরের প্রতিটি ঈদগাহ ও মসজিদ এখন প্রস্তুত হচ্ছে ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য। জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও নগরের ৩৬২টি ঈদগাহে ঈদের নামাজের জন্য সহায়তা করছে ঢাকা সিটি করপোরেশন। ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) সূত্রে জানা গেছে, বছর দশেক ধরে সুপ্রিম কোর্টের জাতীয় ঈদগাহে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি লোক একসঙ্গে ঈদের নামাজ পড়ে। এরমধ্যে মহিলাদের জন্য আলাদা প্যান্ডেল করা হয়। পুরুষদের সারি ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষা ভবন, প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবনের সামনের রাস্তায়। ঈদুল আজহার তুলনায় ঈদুল ফিতরের নামাজে বেশি লোকসমাগম হয়। জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি ও ঈদের নামাজ আয়োজনে নগরের অনেক সেবা সংস্থা জড়িত। এরই মধ্যে জাতীয় ঈদগাহে চলে ঈদের জামাতের প্রস্তুতির তোড়জোড়। গণপূর্ত অধিদফতরের ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৪ জাতীয় ঈদগাহের ঘাস কাটা, ভূমি সমতল করা ও দেয়াল রং করার কাজ করছে। তারা পানির কলও বসাবে। জাতীয় ঈদগাহে পানি সরবরাহ করে থাকে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা)। বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি)। তাদের পক্ষ থেকে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়। জাতীয় ঈদগাহে টেলিফোন সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ থাকবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজে। ঈদের নামাজ চলাকালে মুসলি্লদের নিরাপত্তায় কাজ করবেন র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যরা। যেকোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ঈদের নামাজে ব্যবহারের জন্য মাইক্রোফোন সরবরাহ করবে গণযোগাযোগ অধিদফতর। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঈদের নামাজের জামাতের জন্য ইমাম, কারি ও উপস্থাপক নিয়োগ দেবে। এদিকে নগরের পাড়া-মহল্লার ঈদগাহ ও মসজিদগুলোয় এখন চলছে ঈদের নামাজ আয়োজনের প্রস্তুতি। এর মধ্যে ৩৬২টি মসজিদ ও ঈদগাহে প্রস্তুতিতে সহায়তা করছে ডিসিসি। ডিসিসির পক্ষ থেকে এগুলোকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। আঠারো-উনিশ শতকে ঢাকায় ঈদ আনন্দের প্রধান একটি অনুষঙ্গ ছিল ঈদ মিছিল। এসব মিছিলের আয়োজক বা পৃষ্ঠপোষক থাকতেন ঢাকার নায়েবে-নাজিমরা। এ ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আরো বৃদ্ধি পায়। খোলা জায়গার অভাবে মেলা এখন চলে এসেছে ঢাকার পার্ক আর সড়কপথে। পুরান ঢাকার চকবাজার, ভিক্টোরিয়া পার্কের কলতাবাজারসংলগ্ন এলাকা, নয়াবাজারের পার্কসংলগ্ন এলাকা, শাহজাহানপুর কলোনির মাঠ, শ্যামপুর, ধুপখোলা মাঠ, বাংলাদেশ মাঠ, খিলগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠসহ সারা ঢাকায়ই বিচ্ছিন্নভাবে ঈদমেলার আয়োজন হয়ে থাকে।

হাকিম হাবিবুর রহমান, নাট্যকার সাঈদ আহমেদ, আশরাফ-উজ-জামানের স্মৃতিকথা থেকে গত শতাব্দীর বিশ-ত্রিশ দশকের যেসব ঈদের মিছিল বের হয়েছে তার বিবরণ জানা যায়। নগর থেকে ঈদ মিছিল একেবারেই হারিয়ে যায়নি। এখন শিশু একাডেমী থেকে হাইকোর্ট, প্রেসক্লাব হয়ে হাজারীবাগ পর্যন্ত একটি ঈদ শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকাবাসী সংগঠন। এই সংগঠনের সভাপতি শুকুর সালেক জানান, তাদের ঈদ মিছিল ১৯৯১ সালে চালু হয়। এটি তখন সেগুনবাগিচা থেকে হাজারীবাগ পর্যন্ত হতো। তাদের ঈদ মিছিল একবার বঙ্গভবন থেকেও শুরু হয়েছিল, যা উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। এবারো তারা শিশু একাডেমী থেকে ঈদ মিছিলের আয়োজন করবেন। ঈদ উপলক্ষে একসময় ঢাকার নানা স্থানে জমজমাট মেলা বসত। এর মধ্যে চকবাজার, ধানমন্ডি ঈদগাহ প্রাঙ্গণ, কমলাপুর, রমনা ময়দান ও পুরানা পল্টনে মেলা জমত বেশি। ওই মেলায় বাঁশি, ঢোল, খেলনা, পুতুল, পুঁতির পালা, পাটির তৈজসপত্র, বাঁশের সামগ্রী ছাড়াও বিনি্ন ধানের খই, মৌআলু, ময়দা ও ছানার হরেকরকম খাবারের পসরা বসত। সময়ের ব্যবধানে এসবের সঙ্গে যুক্ত হয় নাচগান, পুতুলনাচ ও সার্কাস। এ মেলা শুধু ঢাকাবাসীর কাছে সীমাবদ্ধ ছিল না, ঢাকার আশপাশের লোকজনও কেনাকাটা ও বিনোদন উপভোগ করার জন্য ছুটে আসতেন। আঠারো ও উনিশ শতকের শেষার্ধের ঢাকার ঈদ মিছিলের বেশ কিছু ছবি সংরক্ষিত আছে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে। এর পধ্যে রয়েছে চকবাজারের ঈদমেলার চারটি ছবি। একটি ছবিতে মেলার ভিড়ের মধ্যে এক জায়গায় আছে পীর জুমলার কামান, যা বিবি পরিয়ম কামান নামে পরিচিত। ঐতিহাসিক ছবি ও তথ্য থেকে জানা যায়, ঢাকার প্রাচীন ঈদমেলা হচ্ছে চকবাজারের ঈদমেলা। এই মেলার প্রাচীন ছবিগুলো দেখে বোঝা যায়, এতে অভিজাত থেকে শুরু করে সবশ্রেণির মানুষই আসতেন। পুরান ঢাকার আদি বাসিন্দা ও মরহুম মাজেদ সর্দারের ছেলে নাজির হোসেন জানান, ১৯৫০ সালের মাঝামাঝি পুরানা পল্টন মাঠে ঈদের দিন মেলা বসত। পুরান ঢাকা থেকে ওই মেলায় তারা যেতেন। স্টেডিয়ামের পরিধি বাড়ার পর মেলা বন্ধ হয়ে যায় বলে তিনি জানান। ঢাকায় এখন ঈদের দিন চকবাজারে ছোট আকারে ঈদমেলার আয়োজন করা হয়। এখন আর মেলাটিতে জৌলুস নেই। আরমানিটোলাও পাঠে একটি ঈদমেলা বসে। তবে এসব মেলা ঈদমেলার আগের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারছে না। ঈদ ঐতিহ্যের অন্যান্য অনুষঙ্গের মধ্যে রয়েছে_ মেহেদি উৎসব, ঘুড়ি উৎসব প্রভৃতি। তবে পুরনো ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলো যান্ত্রিকতার কারণে এখন অনেকটাই বদলে গেছে। এখন ঈদ উৎসবে কেউ ব্যস্ত থাকে স্যাটেলাইট চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখায়, আবার কেউ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে যায়। পাড়ায় পাড়ায় গানের কনসার্ট হয়। টিভিতে চলে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। সিনেমা হলে নতুন ছবি মুক্তি পায়। এভাবেই বদলে গেছে ঢাকার ঈদ। তবে পুরনো দিনের কথা ভেবে ঢাকার আগের ঈদের দিকে তাকিয়ে সেই জৌলুসের অভাব আপনি অনুভব করতেই পারেন।
রনক ইকরাম

0 comments:

Post a Comment