Sunday, September 5, 2010

জাপান

0 comments
জাপান বর্তমানে পৃথিবীর আধুনিক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রে জাপান সবচেয়ে উন্নত একথা বলা অন্যায় হবে না। জাপানের অগ্রগতির একটি সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর কথা। চীন ও কোরিয়ার সংস্কৃতিদ্বারা জাপান প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত। মূলত তখন থেকেই জাপানি সভ্যতার গোড়াপত্তন। চীন এবং কোরিয়া থেকেই জাপান চারু ও চিত্রকলার শিক্ষা গ্রহণ করে। অষ্টম শতাব্দীতে বৃটিশরা যখন অন্ধকার যুগে বাস করছিল জাপানিরা ঠিক তখন নারা-তে একটি সৌন্দর্যমণ্ডিত রাজধানী স্থাপন করে। দ্বাদশ শতাব্দীর শেষদিকের কথা। জাপান উন্নতির পথে ক্রমশ: অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় দেশের ভিতর শুরু গৃহযুদ্ধ। এ যুদ্ধ ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত চলছে। এর ফলে দেশের অগ্রগতি প্রায় রুদ্ধ হয়ে যায়।
১৬২৪ খ্রিস্টাব্দে জাপানের শাসক টকুগাওয়া শোগান একটি কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি আদেশ জারি করেন, জাপান একটি রুদ্ধ দেশ হবে। কোনো বিদেশিকে জাপানের ভূমিতে অবতরণ করতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, কোনো জাপানিকে নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশেও যেতে দেওয়া হবে না। এই ঘোষণার ফলে বহির্বিশ্ব থেকে জাপান সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে কমোডর পেরী নামক মার্কিন নৌবহিনীর এক অফিসার বিদেশিদের জন্য দেশের দ্বার উন্মুক্ত করতে জাপানকে বাধ্য করে। তখন টোকিও হয় জাপানের রাজধানী। নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, জাপানকে পশ্চিমা দেশগুলোর পথ অনুসরণ করে তদানুরূপ উন্নত ও শক্তিশালী হতে হবে।

এরপরই জাপানে শিক্ষা বিপ্লবের সূচনা। জাপান সাফল্যের সঙ্গে রেলওয়ে ও কলকারখানা, বন্দুক, কামান এবং যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করতে শুরু করে। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাশিয়া-জাপান যুদ্ধে শক্তিশালী রাশিয়াকে পরাজিত করে। ১৯৩০-এর দশকে জাপানি সৈন্যরা সরকারের ওপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা অর্জন করে। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি ও ইতালিকে সমর্থন করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এই যুদ্ধে ১৯৪৫ খ্রিসটাব্দের ৬ ও ৯ আগস্ট আমেরিকা হিরোসিমা ও নাগাসাকির ওপর আণবিক বোমা নিক্ষেপ করে। তাই বাধ্য হয়ে জাপানকে আত্মসমর্পণ করতে হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান উন্নতির পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে। যার কারণে দেশটি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলোর অন্যতম।
**আশিফ হোসেন
**আমিন রহমান নবাব

0 comments:

Post a Comment